সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল পোস্টার ডিজাইন


 
প্রথম দেখায়:

  • এমন ছবি ব্যবহার করতে হবে যা প্রথম দেখাতেই মানুষের চোখ টানে।

  • ডিজাইনটা যেন গতানুগতিক না হয়, একটু আলাদা আর সহজে মনে রাখার মতো হয়।

 কম কথায় বেশি মানে:

  • সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি লেখা লোকে পড়তে চায় না, তাই অল্প কথায় আপনার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।

  • পোস্টারের শক্তিশালী হেডলাইন বা ট্যাগলাইন দিন যেটা দেখেই মানুষ বুঝতে পারে এটা কী নিয়ে।

  • জরুরি তথ্যগুলো সবচেয়ে আগে যেন সহজেই চোখে পড়ে। 

 টাইপোগ্রাফি:

  • লেখার স্টাইলটা যেন পোস্টারের মূল ভাবনার সাথে মানানসই হয় ।

  • লেখাগুলো কোথায় কীভাবে বসানো হচ্ছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

  • লেখার আকার, রং আর অবস্থানের মাধ্যমে একটা গতির illusion তৈরি করা যেতে পারে।

 রং ব্যবহার:

  • আলাদা আলাদা রং মানুষের মনে আলাদা আলাদা অনুভূতি জাগাতে পারে, তাই সঠিক রং বেছে নেওয়া জরুরি।

  • কন্ট্রাস্ট ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোকে হাইলাইট করা।

  • কম রং ব্যবহার করে ডিজাইন করা ।

 মোবাইলের জন্য ডিজাইন:

  • এখন বেশিরভাগ মানুষ ফোন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া দেখে, তাই পোস্টার লম্বালম্বিভাবে বানালে পুরো স্ক্রিনে ভালোভাবে দেখাবে।

  • ছোট স্ক্রিনেও যাতে লেখাগুলো পরিষ্কার দেখা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

  • স্ক্রোল করার আগে পোস্টারের উপরের অংশটা দেখা যায়, সেটুকুই যেন নজর কাড়ে: পোস্টারের উপরের অংশটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই সেখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিসটা রাখতে হবে।

 এমন কিছু বানাতে হবে যাতে লোকে শেয়ার করতে আর meme বানাতে উৎসাহ পায়:

  • যদি সম্ভব হয়, কিছু মজার বা বুদ্ধিদীপ্ত জিনিস রাখতে পারেন: হাসির কিছু থাকলে বা clever কিছু থাকলে লোকে সেটা বেশি শেয়ার করে।

  • সাধারণ মানুষের জীবনের সাথে মেলে এমন কিছু থাকলে লোকে সহজে কানেক্ট করতে পারে।

  • দেখতে খুব আলাদা আর সহজে চেনা যায় এমন হওয়া চাই: আপনার ডিজাইনটা যেন খুব সহজেই অন্যদের থেকে আলাদা করা যায়।

  • কখনও কখনও এমন ডিজাইন করা ভালো যাতে মানুষ নিজের মতো করে মানে বের করতে পারে: এমন কিছু রহস্য রাখলে মানুষ সেটা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।

 সাধারণ চারকোণা ডিজাইন ছাড়াও অন্যরকম কিছু ভাবা যেতে পারে:

  • পোস্টারের ভেতরে অন্যরকম আকার বা ফাঁকা জায়গা রাখতে পারেন: শুধু চারকোণা না বানিয়ে অন্য কোনো শেপ ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা ডিজাইনের মধ্যে ইন্টারেস্টিং স্পেস রাখা যেতে পারে।

  • লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে একটা থ্রিডি এফেক্ট আনা যেতে পারে।

কোন প্ল্যাটফর্মে পোস্টারটা দেবেন, সেটার নিয়ম অনুযায়ী ডিজাইন করতে হবে:

  • কোন প্ল্যাটফর্মে কী কী সাইজ, সেটা জানতে হবে: যেমন Instagram-এর সাইজ একরকম, আবার Facebook-এর সাইজ অন্যরকম হতে পারে।

  • যদি দরকার হয়, এক একটা প্ল্যাটফর্মের জন্য একটু আলাদা ডিজাইন বানাতে পারেন: সব প্ল্যাটফর্মের জন্য একই ডিজাইন না করে একটু বদলে দিলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।

 সবাই যাতে বুঝতে পারে সেভাবে ডিজাইন করা দরকার:

  • খুব স্টাইলিশ ফন্ট ব্যবহার না করে সহজবোধ্য ফন্ট ব্যবহার করা উচিত যা সবাই সহজে পড়তে পারে

  • লেখা আর ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙের পার্থক্যটা যেন ভালোভাবে বোঝা যায়: যাদের চোখে সমস্যা আছে তাদের সুবিধার জন্য এটা জরুরি।

  • ছবি আপলোড করার সময় alt text অবশ্যই দেবেন: এটা স্ক্রিন রিডারদের জন্য দরকারি, যারা দেখতে পান না।

 ডিজাইন আর সোশ্যাল মিডিয়ার নতুন ফ্যাশনগুলো খেয়াল রাখতে হবে:

  • এখনকার দিনে কোন ধরনের ডিজাইন বেশি চলছে, সেটা দেখতে হবে: ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চললে আপনার ডিজাইনও মানুষের চোখে পড়বে।

  • যে জিনিসগুলো খুব বেশি শেয়ার হচ্ছে, সেগুলো দেখলে বোঝা যাবে কী ধরনের ডিজাইন লোকে পছন্দ করছে: অন্য ভাইরাল পোস্টারগুলো দেখে আইডিয়া নিতে পারেন।