
প্রথম দেখায়:
এমন ছবি ব্যবহার করতে হবে যা প্রথম দেখাতেই মানুষের চোখ টানে।
ডিজাইনটা যেন গতানুগতিক না হয়, একটু আলাদা আর সহজে মনে রাখার মতো হয়।
কম কথায় বেশি মানে:
সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি লেখা লোকে পড়তে চায় না, তাই অল্প কথায় আপনার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।
পোস্টারের শক্তিশালী হেডলাইন বা ট্যাগলাইন দিন যেটা দেখেই মানুষ বুঝতে পারে এটা কী নিয়ে।
জরুরি তথ্যগুলো সবচেয়ে আগে যেন সহজেই চোখে পড়ে।
টাইপোগ্রাফি:
লেখার স্টাইলটা যেন পোস্টারের মূল ভাবনার সাথে মানানসই হয় ।
লেখাগুলো কোথায় কীভাবে বসানো হচ্ছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
লেখার আকার, রং আর অবস্থানের মাধ্যমে একটা গতির illusion তৈরি করা যেতে পারে।
রং ব্যবহার:
আলাদা আলাদা রং মানুষের মনে আলাদা আলাদা অনুভূতি জাগাতে পারে, তাই সঠিক রং বেছে নেওয়া জরুরি।
কন্ট্রাস্ট ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোকে হাইলাইট করা।
কম রং ব্যবহার করে ডিজাইন করা ।
মোবাইলের জন্য ডিজাইন:
এখন বেশিরভাগ মানুষ ফোন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া দেখে, তাই পোস্টার লম্বালম্বিভাবে বানালে পুরো স্ক্রিনে ভালোভাবে দেখাবে।
ছোট স্ক্রিনেও যাতে লেখাগুলো পরিষ্কার দেখা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
স্ক্রোল করার আগে পোস্টারের উপরের অংশটা দেখা যায়, সেটুকুই যেন নজর কাড়ে: পোস্টারের উপরের অংশটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই সেখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিসটা রাখতে হবে।
এমন কিছু বানাতে হবে যাতে লোকে শেয়ার করতে আর meme বানাতে উৎসাহ পায়:
যদি সম্ভব হয়, কিছু মজার বা বুদ্ধিদীপ্ত জিনিস রাখতে পারেন: হাসির কিছু থাকলে বা clever কিছু থাকলে লোকে সেটা বেশি শেয়ার করে।
সাধারণ মানুষের জীবনের সাথে মেলে এমন কিছু থাকলে লোকে সহজে কানেক্ট করতে পারে।
দেখতে খুব আলাদা আর সহজে চেনা যায় এমন হওয়া চাই: আপনার ডিজাইনটা যেন খুব সহজেই অন্যদের থেকে আলাদা করা যায়।
কখনও কখনও এমন ডিজাইন করা ভালো যাতে মানুষ নিজের মতো করে মানে বের করতে পারে: এমন কিছু রহস্য রাখলে মানুষ সেটা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
সাধারণ চারকোণা ডিজাইন ছাড়াও অন্যরকম কিছু ভাবা যেতে পারে:
পোস্টারের ভেতরে অন্যরকম আকার বা ফাঁকা জায়গা রাখতে পারেন: শুধু চারকোণা না বানিয়ে অন্য কোনো শেপ ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা ডিজাইনের মধ্যে ইন্টারেস্টিং স্পেস রাখা যেতে পারে।
লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে একটা থ্রিডি এফেক্ট আনা যেতে পারে।
কোন প্ল্যাটফর্মে পোস্টারটা দেবেন, সেটার নিয়ম অনুযায়ী ডিজাইন করতে হবে:
কোন প্ল্যাটফর্মে কী কী সাইজ, সেটা জানতে হবে: যেমন Instagram-এর সাইজ একরকম, আবার Facebook-এর সাইজ অন্যরকম হতে পারে।
যদি দরকার হয়, এক একটা প্ল্যাটফর্মের জন্য একটু আলাদা ডিজাইন বানাতে পারেন: সব প্ল্যাটফর্মের জন্য একই ডিজাইন না করে একটু বদলে দিলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
সবাই যাতে বুঝতে পারে সেভাবে ডিজাইন করা দরকার:
খুব স্টাইলিশ ফন্ট ব্যবহার না করে সহজবোধ্য ফন্ট ব্যবহার করা উচিত যা সবাই সহজে পড়তে পারে।
লেখা আর ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙের পার্থক্যটা যেন ভালোভাবে বোঝা যায়: যাদের চোখে সমস্যা আছে তাদের সুবিধার জন্য এটা জরুরি।
ছবি আপলোড করার সময় alt text অবশ্যই দেবেন: এটা স্ক্রিন রিডারদের জন্য দরকারি, যারা দেখতে পান না।
ডিজাইন আর সোশ্যাল মিডিয়ার নতুন ফ্যাশনগুলো খেয়াল রাখতে হবে:
এখনকার দিনে কোন ধরনের ডিজাইন বেশি চলছে, সেটা দেখতে হবে: ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চললে আপনার ডিজাইনও মানুষের চোখে পড়বে।
যে জিনিসগুলো খুব বেশি শেয়ার হচ্ছে, সেগুলো দেখলে বোঝা যাবে কী ধরনের ডিজাইন লোকে পছন্দ করছে: অন্য ভাইরাল পোস্টারগুলো দেখে আইডিয়া নিতে পারেন।